New Step by Step Map For ফেরা গল্পের মূলভাব

জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ... অর্ডার করুন

হয়তো তিনি যুদ্ধে যাননি, কিন্তু পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর নানা কাজের মাধ্যমে কিছু অন্তত দেয়ার চেষ্টা করেছেন দেশকে। অনেক অনেক কিশোর-কিশোরীরা তাঁর লেখা দিয়ে অনুপ্রাণিত। অনেকেই যুদ্ধ সম্পর্কে আগ্রহী হয়েছে তাঁর লেখার মাধ্যমেই। এই অবদানগুলো একেবারেই অস্বীকার করার মতো নয় কিন্তু। ফেরা উপন্যাসটি সববয়েসীদের জন্যই। কারণ মুক্তিযুদ্ধ এর বিষয়বস্তু। আর মুক্তিযুদ্ধ কেবল কিশোর উপন্যাস বা ছোটদের কোন বিষয়বস্তু না৷ যুদ্ধের বাস্তবতা চমৎকারভাবে নিয়ে এসেছেন লেখক আবারও এখানে। তাঁর আমার বন্ধু রাশেদ, গ্রামের নাম কাঁকনডুবি বা ক্যাম্প এর পর। নন্দিনী নামের একটি বয়েসে বড় হিন্দু মেয়ের সাথে ফজলের যে হার্দিক সম্পর্ক গড়ে উঠে, এখানে কি লেখক কোথাও তাঁর ব্যক্তিজীবনকে ছুঁয়ে যান অল্প করে? কে জানে! মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস হলেও একেবারে হালকা ভাষায় গড়পড়তা করে লেখা হয়নি এটি। এসেছে অনেক নিষ্ঠুর দিক আর মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফেরার পর সময়ের পালাবদলও অল্প করে ধরা পড়েছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল যে এখনো check here ফুরিয়ে যান নি, এতে আমি স্বস্তি পেয়েছি।

যেখানে যা কিছু ছিল, তেমন করেই রাখা। মা ফিরে আসবেন

ওসি সাহেব এবং সাংবাদিকরা মিলে ফিরে আসা মেয়েটাকে সহ আম্বিয়া বেগম আর তাঁর অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের প্রশ্নে-প্রশ্নে জর্জরিত করছেন। তাঁদের কাছে ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। কোনওভাবেই মৃত মানুষ আবার ফিরে আসতে পারে না। নিশ্চয়ই এর পিছনে কোনও বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। তাঁরা সেই রহস্যের পর্দা ভেদ করতে চাইছেন।

থেঙ্কিউ ৪৬

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: কবি কাষ্টঘর গেছিলা???

যে জীবনে কত মাধুর্য তৈরি করে পুষ্পবতীকে না দেখলে বোঝা কঠিন।

সুযোগ মতো হাতে পাই—পোঁদে বাঁশ ঢুকিয়ে ছাড়ব। থু থু! লোকটা নেমকহারাম।

মহিলার তৎক্ষণাৎ জবাব, এ লে, শেষ হো গেয়া। আপনে বাংলা কথা বুঝেন না?

না, কতবারই দেখেছে, অনেক রাত হয়ে গেছে ফিরতে। তবে কেউ না কেউ খবর দিয়ে গেছে, কাকা হাসনাবাদের

একটা টাইপিং মিসটেক আর একটা বানান ভুল পেয়েছি

. পাঠ্যবইয়ে কিছু ছিল না আর নাই সেটা নিয়ে যে অবাক হবার কথা, সেটাও জানা ছিল না।

মাঠচাষিদের উসকাচ্ছে। রোগাপটকা মানুষটার খুবই তেজ। বিপ্রদাসই খবর দিয়েছে। জমি বাঁচাও

‘কৃষ্ণপক্ষের দিন’ গল্পে জামিল, শহীদ, মতিয়ুর, রহমান ও একরাম – এই পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা – আগে কেউ ছিল ক্ষেতমজুর, কেউ স্কুলের ছাত্র আবার কেউ বা কলেজের ছাত্র। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটা বিল অতিক্রম করার সময় তাদের নিজেদের বিচিত্র অনুভূতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিজীবনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে থাকে। পাকিস্তানি সেনারা হিন্দু ও মুসলমান গ্রামবাসীকে কীভাবে নির্বিচারে নির্মমভাবে হত্যা আর ধর্ষণ করেছে – এসব দৃশ্য তারা অসহায়ের মতো দূর থেকে অবলোকন করেছে। একসময় তাদের সর্বকনিষ্ঠ সঙ্গী চৌদ্দ বছরের একরাম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়। বিল পেরিয়ে তারা মরা জ্যোৎস্নালোকে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত অবস্থায় গঞ্জসংলগ্ন একটি ঝোপের পাশের এলাকায় জিরিয়ে নিচ্ছিলো। তখনই তারা ধরা পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে। সেখান থেকে নদীর কিনারায় নিয়ে যাওয়া হলো তাদের চারজনকে। ঘাতক বাহিনীর একজন সৈন্য মাত্র দু-হাত দূর থেকে প্রথমে গুলি করলো রহমানকে। তারপর শহীদ ও শেষে মতিয়ুরকে। জামিল ততক্ষণে দাঁড়িয়ে থেকে সবই দেখলো এবং তার দিকে রাইফেল তাক করার সঙ্গে সঙ্গে সে সৈন্যটির তলপেটে প্রচণ্ড একটা লাথি বসিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎবেগে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শত্রুদের আট-দশটি রাইফেল জলের মধ্যে ক্রমাগত গুলি ছুড়েও জামিলকে হত্যা করতে ব্যর্থ হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *